বর্তমানে কম্পিউটারের ব্যবহার ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর ব্যবহার করার জন্য একজন ব্যক্তির প্র্রয়োজন। তাই ব্যবহার কারীকে সঠিকভাবে এর (কম্পিউটারের) ব্যবহার করা জানতে হবে। আজ আমরা নতুন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যা আমাদের কম্পিউটার ব্যবহার আরও দ্রুততর করতে সাহায্য করবে। আজকে আমরা জানব যে, (CLI) অর্থাৎ
কম্পিউটার অভ্যন্তরীণ কিছু ডস কমান্ড এবং পিসি ডস কমান্ড, এই উভয় প্রকারের প্রায় অর্ধ – শতাধিক কমান্ড রযেছে । এর ব্যবহারের মাধ্যমে কম্পিউটারের কার্য়বলী সম্পাদন করা হয়ে থাকে । তান্মধ্যে কিছু কিছু কমান্ড বেশি ব্যবহার হয় এবং কিছু কিছু কমান্ড তেমন উল্লেখ্য নয় । তবে একজন ভাল কম্পিউটার ব্যবহার কারী হিসাবে অবশ্যই আপনাকে কমান্ড লাইন সম্পের্কে জানতে হবে । বর্তমানে একজন ভাল প্রোগ্রামার হিসাবে চাকরি করতে গেলে কমান্ড লাইন সম্পর্কে জানা থাকার বিকল্প নেই । তাই আমাদের কমান্ড লাইন সম্পর্কে জানতে হবে । এখানে আমরা কমান্ড লাইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ।
কমান্ড লাইন ব্যবহার করার জন্য নিদিষ্ট নিয়ম রয়েছে, যার মাধ্যমে আমরা খুব সহজে কমান্ড লাইনটি ব্যবহার করতে পারি । কম্পিউটারে ডস কমান্ড প্রয়োগের স্টান্ডার সিন্টেস্ক্রটি নিম্নরূপ :-
[dos-prompt]
<command name>
<source >
< target >
< switch >
<parameter>
[dos-prompt]
সিন্টেস্ক্রটি উক্ত অংশের ড্রাইভ লেটার নাম প্রদর্শন করে । কেননা ডস কমান্ড প্রয়োগের ক্ষেত্রে ডস প্রম্পট প্রদর্শন অবশ্যম্ভবী । আর ডস কমান্ড প্রয়োগ করার জন্য ডস প্রম্পট ব্যতিত অন্য কোন পরিবেশ প্রয়োগ সম্ভব নয় । তবে কিছু প্যাকেজ প্রোগ্রাম রয়েছে সেখান থেকে ডস কমান্ড করা যায় । আর প্রম্পট
<command name>
ডস প্রম্পটের ডান পাশে যেখানে কার্সার অবস্থিত এবং এখান থেকে কমান্ড টাইপ করতে হয় । আমরা যদি নতুন কোন ডিরেক্টরি তৈরি করতে চাই তাহলে তার নিদিষ্ট কমান্ডটি টাইপ করতে হবে । যেমন :- MKDIR
এর চিহ্ন দ্বারা এখানে একটি স্পেস বোঝানে হয়েছে । কারণ পরবর্তীতে আমরা যখন সোর্স টার্গেট দিব তখন এই স্পেসটি না দিলে কমান্ডটি কার্যকারী হবে না ।
<source>
কমান্ডটি কার্যকারীতা কোত্থেকে হবে তার সঠিক অবস্থা নির্ধারণ করার জন্য এটি প্রযোজন হয় । যেমন আমাদের কোন ফাইল কপি করার প্রযোজন কোন ড্রাইভের কোন ডিরেক্টরী থেকে কপি হবে তা সোর্স অংশে টাইপ করতে হবে।
<target>
কমান্ডের ফলাফল কোথায় প্রয়োগ হবে তা টার্গেট অংশে উল্লেখ করা হয় । যেমন কপি করা ফাইলটি কোন ড্রাইভের কোথায় রাখা হবে তার নির্দেশ করতে ব্যবহার হয় ।
<switch>/<parameter>
প্রয়োগকৃত ডস কমান্ডটির সাহায্যে বেশি সুবিধা লাভের জন্য বিভিন্ন সুইচ বা প্রারামিটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
এই চিহ্ন দিয়ে কি – বোর্ডের এন্টার বাটনটি বোঝানো হয়েছে । কারণ আমরা যখন কোন ডস কমান্ডের জন্য নির্দিষ্ট কমান্ড টাইপ করব । সেই কমান্ডটি সম্পন্ন করার পর এন্টার বাটনটির প্রয়োজন হবে ।
কমান্ড লাইনের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে । একজন ইউজার তার কাজকে খুবই দ্রুতার সাথে করতে সক্ষম হবে । তবে ব্যবহার করীকে কমান্ড লাইনটি ব্যবহার বিধি সম্পর্কে গভীর ভাবে জানতে হবে । কারণ একজন ইউজার তার ফাইল তৈরি করা সহ যবর্তীয় কাজ করতে সক্ষম হবেে এই কমান্ড লাইনে । তাই কমান্ড প্রম্পটে কমান্ড ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম জানতে হবে এবং কমান্ড লাইন ব্যবহারের আনেক গুলো সুবিধা রয়েছে । নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ।
আর সাথে সাথে আমাদের ডেস্কটপে Command Prompt টি ওপেন হবে সেখানে আমরা আমাদের সুবিধা মত কমান্ডটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি ।
নোট : আপনি যদি উইন্ডোজ ইউজার হন তাহলে প্রথমে আপনাকে যে ড্রাইভটি দেখাবে তা হলো C:\
। এ সাথে দুইটি ফোল্ডার যা মাঝে থাকবে \
ব্যাক স্লাস এবং শেষে থাকবে >
গেটারদ্যান চিহ্ন । এখন আমরা আমাদের কম্পিউটারে বেশি ব্যবহারীত কিছু কমান্ড কিভাবে প্রযোগ করা করতে হয় এবং সেই কমান্ড গুলি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে চেষ্টা করব ।
নোট : Command Prompt এ কেজ সেনসেটিভ না, যার কারণে আমরা Command Prompt এ UPPERCASE & lowercase যে কোন একটি দিয়ে কমান্ডগুলো সম্পন্ন করতে পারি । এখানে ডিরেক্টরী বলতে ফোল্ডারকে বেঝানো হয়েছে ।
এখন আমরা উপরে উল্লেখিত কমান্ড গুলোর বিস্তারিত আলোচনা করব ।
যখন এক ডিরেক্টরী থেকে অন্য ডিরেক্টরীতে প্রবেশ করব তখন ( CD ) কমান্ডটি ব্যবহার করব । কমান্ড লাইনে আমরা ( CD ) টাইপ করার পর অবশ্যই আমাদের একটি স্পেস দিতে হবে । পরবর্তীতে কোন ডিরেক্টরীতে প্রবেশ করব তার জন্য সেই ডিরেক্টরীর নাম উল্লেখ করতে হবে । নির্দিষ্ট ভাবে আমরা যদি কোন ডিরেক্টরীতে / ফাইলে প্রবেশ করতে চাই তাহলে আমাদের কে সেই ডিরেক্টরীর নাম টাইপ করতে হবে । আরো সহজ ভাবে করতে চাইলে আমরা নির্দিষ্ট সেই ডিরেক্টরীর / ফাইলের নামের প্রথম অক্ষর টাইপ করার পর কি –বোর্ড থেকে TAB
বাটনটি প্রেস করব এবং তাহলে সেই ডিরেক্টরীর নাম পর্দায় দেখতে পাব । আর যদি আমরা উক্ত ডিরেক্টরীতে কোন ধরণের ফাইল / ফোল্ডার আছে তা দেখতে চাইলে আমরা DIR
টাইপ করব । আর (Enter) বাটন প্রেস করার পর আমাদের সেই ডিরেক্টরীর আন্ডারে যত ডিরেক্টরী ও ফাইল আছে তা পরপর প্রর্দশন করতে থাকবে । অন্য ভাবে করতে চাইলে আমরা ,উক্ত ডিরেক্টরীতে থাকা অবস্থায় আমরা কি – বোর্ড থেকে
TAB
বাটন প্রেস করব । যার ফলে আমাদেরকে একের পর এব ফাইল / ফোল্ডার প্রর্দশন করতে থাকবে । আর নির্দষ্ট ফাইল /ফোল্ডার টি খুজে পাই তাহলে আমাদের কি – বোর্ড থেকে Enter
বাটনটি প্রেস করব যার ফলে নতুন একটি লাইন তৈরি হবে : যেমন :-
এই কমান্ডটি আমরা আমাদের যে ডিরেক্টরীতে যাছি সেই ডিরেক্টরী থেকে আগেরর ডিরেক্টরীতে নিয়ে যেতে ব্যবহার হয় । ধরা যাক যে, আমরা এখন C:\Users\Hamidur Rahman\Desktop>
ডিরেক্টরীতে যাছি । অর্থাৎ এখানে, আমরা C:\
ডিরেক্টরীর ( Desktop ) ডিরেক্টরীতে যাছি । আর আমরা পুর্ববরর্তী ( Hamidur Rahman ) ডিরেক্টরীতে যেতে চাই । তাই আমাদের কমান্ড লাইনে CD..
/ CHDIR..
এর যে কোন একটি টাইপ করতে হবে এবং কমান্ডটি টাইপ করার পর কি - বোর্ড থেকে ( ENTER ) বাটন প্রেস করতে হবে । তাহলে আমরা এখন
C:\
ডিরেক্টরীর (Hamidur Rahman) ফিরে আসব । এভাবে আবার যদি CD..
/ CHDIR..
এর যে কোন একটি টাইপ করি তাহলে আমাদের পুর্ববর্তী ডিরেক্টরীতে নিয়ে যাবে । যেমন :-
কমান্ড প্রম্পটে এ গুরুত্ব পুর্ণ আরেকটি কমান্ড যা দ্বারা আমরা এক ড্রাইভ থেকে অন্য ড্রাইভে প্রবেশ করার জন্য আমরা এই :
কমান্ডটি ব্যবহার করা হয় । তবে এই কমান্ডটি ব্যবহার করার জন্য আমাদেরকে প্রথমে জানতে হবে যে, আমাদের কম্পিউটারে কয়টি ড্রাইভ আছে । যদি জানা না থাকে থাহলে এই :
কমান্ডটি ব্যবহার করা সম্ভব হবে না । উল্লেখ্য যে,আমরা সহজে জানতে পারব আমাদের কম্পিউটারে কয়টি ড্রাইভ আছে । তার জন্য আমরা ( My Computer ) রের উপরে ডাবল ক্লিক করে আমাদের কম্পিউটারে কয়টি ড্রাইভ আছে । ধরা যাক, আমাদের কম্পিউটারে মোট চারটি ড্রাইভ আছে যেমন C:\>, D:\>, E:\>, F:\>
। আমরা যখন প্রথমে কমান্ড প্রম্পটি ওপেন করব তখন আমারা দেখতে পাব আমাদের কম্পিউটারের স্কিনে C:\Users\Hamidur Rahman\Desktop>
একটি লাইন রয়েছে । যা আমাদেরকে নির্দেশ দেয় এখন আমরা C:\>
ড্রাইভে যাছি । আমারা অন্য কোন ড্রাইভে যেতে চাইলে আমরা সেই ড্রাইভের নাম ও পরে :
চিহ্ন দিই । তাহলে আমাদেরকে সেই ডিরেক্টরীতে নিয়ে যাবে । আবার যদি অন্য ড্রাইভে যেতে চাই তাহলে আমরা সেই ড্রাইভের নাম ও পরে :
চিহ্ন দিই । যেমন :-
কমান্ড প্রম্পটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড যা আমাদের কম্পিউটারে কোন ডিরেক্টরী তৈরি করব তার জন্য এই কমান্ডটি ব্যবহার করা হয়। সহজ ভাবে বলা যায় যে, নির্দিষ্ট কোন ডিরেক্টরী তৈরি করার ক্ষেত্রে এই কমান্ডটি ব্যবহার করা হয়। এই কমান্ডটি ব্যবহার করে এক বা একাধিক ডিরেক্টী তৈরি করা যায় খুব সহজে। এখন আমরা ডেস্কটপে একটি ডিরেক্টরী তৈরি করব যার নাম দিব ( Test ) তার জন্য আমরা কমান্ড প্রম্পটি ওপেন করি এবং টাইপ করি MKDIR
/ MD
এর যে কোন একটি এবং নির্দিষ্ট ডিরেক্টরীর নাম ও পরে কি –বোর্ড থেকে ( Enter ) বাটনটি প্রেস করি । যার ফলে ডেস্কটপে একটি ( Test ) নামে একটি ডিরেক্টরী তৈরি হবে । এছাড়াও একসাথে আমরা একাধিক ডিরেক্টরী তৈরি করতে পারব । প্রথমে টাইপ করতে হবে MKDIR
/ MD
এর যে কোন একটি এবং ডিরেক্টরী গুলোর নাম এবং প্রত্যেক নামের মাঝে একটি করে স্পেস দিতে হবে । এর কারণে প্রত্যেক স্পেস পরে যে নাম পাবে সেই নামে একটি একটি করে ডিরেক্টরী তৈরি হবে । মনে করি , আমরা ডেস্কটপে ছয়টি ডিরেক্টরী তৈরি করতে চাই তাহলে কমান্ড প্রম্পটে MKDIR
/ MD
এর যে কোন একটি টাইপ করি এবং ( ONE TWO THREE FOUR FIVE SIX) লিখি ও পরে ( Enter ) বাটনটি প্রেস করি । তাহলে এখানে মোট ছয়াট ডিরেক্টরী তৈরি হবে ।
এছাড়াও এক বা একাধিক ওযার্ড দিয়ে যদি ডিরেক্টরী তৈরি করতে চাই তাহলে ওযার্ড এর শুরুতে এবং শেষে (" " ) ডাবল কোটেশন দিতে হবে । যেমন এখন New Folder
নামে একটি ডিরেক্টরী তৈরি করতে চাই । তার জন্য উক্ত কমান্ডটি টাইপ করার পর যখন New Folder
লিখতে হবে তখন অবশ্যই উভয় দিকে ডাবল কোটেশন দিতে হবে যেমন :- " New Folder "
তাহলে New Folder
নামে একটি ফোল্ডার তৈরি হবে । অন্যথায় যাদি ডাবল কোটেশন না দেওয়া হয় তাহলে New
এবং Folder
নামের দুইটি ফোল্ডার তৈরি হবে ।
সতর্ক সংকেত : যেখানে আমারা New Folder
নামে একটি ফোল্ডারটি তৈরি করছি । সেই ডিরেক্টরীতে যদি New Folder
নামে কোন ফোল্ডার থাকে তাহলে একই নামে ডিরেক্টরীতে তৈরি হবে না । তবে অন্য নামে দিলে হবে ।
আমাদের কম্পিউটারে কি ধরনের ড্রাইভ, ডিরেক্টরী, ফাইল আছে তা সম্পর্কে জানতে আমরা ( DIR ) কমান্ডটি ব্যবহার করি । এখন আমরা যে কোন ধরনের ড্রাইভে / ডিরেক্টরীতে থাকি সেখানে DIR
কমান্ডটি টাইপ করি । সেই ড্রাইভে / ডিরেক্টরীর মধ্য যে ধরণের ফাইল / ফোল্ডার আছে তা প্রদর্শন হবে : যেমন :-
এই কমান্ডটি ব্যবহার করার ফলে আমাদেরকে যে তথ্য গুলো প্রদর্শন করবে তা বর্ণনাক্রমে সাজিয়ে প্রদর্শন হবে । অর্থাৎ ফাইল ও ডিরেক্টরী গুলো Ascending
আকারে সাজানো থাকবে । যেমন : -
এখানে কমান্ডটি দেওয়ার পর যে তথ্য গুলো প্রদর্শন হলো তা শুধু DIR
কমান্ডটি দিলেও একই তথ্য প্রদর্শন হবে । কিন্তু , DIR
এবং DIR/O
কমান্ডটির অনেক তথ্য আলাদা ভাবে প্রদর্শন করে ।
কমান্ড প্রম্পট এর আরেকটি কমান্ড হলো (DIR/W) এই কমান্ডটি দিলে ড্রাইভ ,ডিরেক্টরী ,ও ফাইলগুলো তৃতীয় বন্ধনী দ্বারা আবদ্ধ থাকে । যেমন :-
কমান্ড প্রম্পটের অধিকাংশ কমান্ড এর মধ্য অধিক ব্যবহৃত কমান্ড এর মধ্য অন্যতম একটি কমান্ড হলো ATTRIB
। এই কমান্ডটি ব্যবহার করা হয় বিশেষ করে আমাদের কাজ করা কোন ফাইল / ফোল্ডার লুকিয়ে রাখতে এই কমান্ডটি ব্যবহার হয় । আমরা জানি যে , কোন ফাইল / ফোল্ডার লুকিয়ে রাখার জন্য আমরা নিজেদের কম্পিউটারে লককরা যায় এমন সফটওয্যার ব্যবহার করি কিন্তু শুধু মাএ এই কমান্ডটি ব্যবহার করে আমরা খুব সহজে নিজেদের তৈরিকৃত ফাইল / ফোল্ডার গুলোকে হাইড করতে পারি । তবে ATTRIB)
কমান্ডটি ব্যবহার করার জন্য আরো কিছুর প্রয়োজন হয় । পুরো কমান্ডটি হলো ATTRIB +H +R +S FOLDER / FILE NAME
। ধরা যাক যে, আমরা এখন ডেস্কটপে একটি ফোল্ডার আছে তার নাম Test Folder
যা আমরা হাইড করব । প্রথমে আমরা ATTRIB +H +R +S
টাইপ করব এবং একটি স্পেস দিয়ে Test Folder
টাইপ করে কি – বোর্ড থেকে ইন্টার দিলে Test Folder
টি হাইড হয়ে যাবে । আবার পুনরায় সেই ফাইল / ফোল্ডারটি খুজে পেতে হলে আমাদেরকে একই নিয়মে টাইপ করতে হবে । তবে এ ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম নিয়ম রয়েছে যেমন : - ATTRIB –H –R –S Test Folder
এটি টাইপ করে কী- বোর্ড থেকে র্ইন্টার দিলে Test Folder
টি আবার দেখতে পাওয়া যাবে । যেমন :-
এই কমান্ডটি ব্যবহার করে কোন ড্রাইভে কি ধরণের ফাইল / ফোল্ডার লুকানে আছে তা প্রদর্শন করতে ব্যবহার হয় । আমরা আমাদের তৈরিকৃত হাইড করা কোন ফাইল / ফোল্ডারকে সহজে দেখতে চাই তাহলে কমান্ড প্রম্পটে এই কমান্ডটি দিয়ে দেখতে পারি । মনে করি , আমাদের তৈরিকৃত ফাইলের নাম Test Folder
ডেস্কটপে হাইড করা আছে তা আমরা দেখতে চাচ্ছি । তাহলে নির্দিষ্ট ড্রাইভে গিয়ে আমরা এই কমান্ডটি DIR/AH
টাইপ করি তাহলে সেই ড্রাইভে থাকা সকল ফোল্ডার / ফাইল দেখতে পাওয়া যাবে । যেমন : -
নোট : - উল্লেখ যে, আমরা যখন কোন ফাইল / ফোল্ডার হাইড করার জন্য কোন সফটওয়্যার খুজি এবং তা ব্যবহার করার জন্য বেশ কিছু সমস্যার সম্মক্ষীন হতে হয় । কিন্তু আমরা কমান্ড প্রম্পট ব্যবহার করে খুব সহজে, যে কোন ফাইল / ফোল্ডারকে হাইড করতে পারি ।
কমান্ড প্রম্পটিতে আমরা বিভিন্ন ধরনের কমান্ড টাইপ করতে পারি । তবে Echo
কমান্ডটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ , এই কমান্ডটি দিয়ে যে কোন ধরণের ফাইল তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা হয় । আমরা এখন একটি index.html
নামের একটি ফাইল তৈরি করব । প্রথমে কমান্ড প্রম্পটি ওপেন করতে হবে এবং নির্দিষ্ট কোন ডিরেক্টরীতে প্রবেশ করতে হবে যেখানে আমরা index.html
নামের ফাইলটি তৈরি করতে চাই । ধরা যাক যে, আমরা ডেস্কটপে একটি ফাইল তৈরি করতে চাই । তাহলে ডেস্কটপে গিয়ে টাইপ করতে হবে ECHO>index.html
তাহলে index.html
নামে একটি ফাইল তৈরি হয়ে যাবে । একই ভাবে (New.txt)
নামের একটি ফাইল তৈরি করতে চাইলে তৈরি করতে পারা যাবে । আবার index.html
নামের ফাইলটির মধ্য কিছু লিখতে চাইলে তার জন্য (ECHO)
কমান্ডটি ব্যবহার করে ফাইলের মধ্য লিখা দেওয়া সম্ভব হবে । এর জন্য কমান্ড লাইলের মধ্য আমরা প্রথমে ECHO
লিখে একটি স্পেস তারপর কিছু টেক্স (we are learning today comman line interface right now .
তার পর >
এবং পরে ফাইলের নাম index.html
লিখতে হবে । এরপর আমরা index.html
নামের ফাইলটি ওপেন করলে দেখতে পাব যে, কিছুক্ষণ আগে আমরা ফাইলটির মধ্য যে ( we are learning today comman line interface right now . ) লিখেছিলাম তা এখালে দেখা যাবে । যেমন : -
এ কমান্ডটি কোন ফাইলের মধ্য কি ধরণের লেখ আছে তা সরাসরি ওপেন না করে বরং কমান্ড প্রম্পটে স্কিনে প্রদর্শন করতে ব্যবহার হয় । উপরে শিখলাম যে কিভাবে আমরা একটি Index.html
ফাইল তৈরি করব । এখন দেখি যে কিভাবে TYPE
কমান্ডটি ব্যবহার করতে হবে । এই কমান্ডটি ব্যবহারের জন্য একটি নিয়ম রয়েছে । প্রথমে TYPE
কমান্ড দিয়ে একটু স্পেস ও পরে ফাইলের নাম index.html
টাইপ করি । তাহলে কমান্ড প্রম্পটি তে ফাইলে থাকা সমস্ত টেস্কটি প্রদর্শল হবে । যেমন : -
কমান্ড প্রম্পটের আরেকটি কমান্ড যার দ্বারা নির্দিষ্ট কোন ফাইল / ফোল্ডারের নাম পরিবর্তন করার জন্য এই RENAME
কমান্ডটি ব্যবহার হয় । আমরা এখন একটি ফোল্ডারের নাম পরিবর্তন করব । যা আমাদের ডেস্কটপে Test Folder
নামে সংরক্ষিত রযেছে । প্রথমে কমান্ড প্রম্পটি ওপেন করি এবং নির্দিষ্ট ডিরেক্টরিতে যেতে হবে । তারপর টাইপ করতে হবে যেমন :- RENAME "Test Folder" MYFOLDER
এখানে RENAME কমান্ডটি টাইপ করা হয়েছে পরে ফোল্ডার নাম এবং নতুন ফোল্ডারের নাম টাইপ করা হয়েছে ।
সতর্ক সংকেত : ফাইলের নাম একাধিক ওয়ার্ডের হলে অবশ্যই " "
ডাবল কোটেশন দিতে হবে ।
যে কোন ফাইল / ফোল্ডারকে Permanently delete করার জন্য ব্যবহার হয় । কিন্তু একটি ডিরেক্টরীর মধ্য স্যাব ডিরেক্টরী থাকে তাহলে ( RMDIR /RD )টি কাজ করবে না । শুধু মাত্র একটি ডিরেক্টরী ( Permanently delete ) করার জন্য ব্যবহার হয় । তবে এই কমান্ডটি দিয়ে আমরা একটি ডিরেক্টরীতে থাকা যে কোন ধরণের ফাইল / ফোল্ডার একসাথে চাইলে ( Permanently delete ) করতে পারি । তবে এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম ভাবে টাইপ করতে হবে । যেমন :- MKDIR /S
/ RD /S
কমান্ড সেই ডিরেক্টরীর সমস্ত ফাইল / ফোল্ডার ( Permanently delete ) করতে পারি । যেমন : -
নোট : - এখানে এক ডিরেক্টরীতে থাকা অবস্থায় তার ভিতরে সমস্ত ফাইল / ডিরেক্টরী ডিলিট করব তখন আপনার কাছ থেকে পারমিশন চাইবে আপনি যদি ( Y ) প্রেস করেন তাহলে সেই ডিরেক্টরী সহ সকল ফাইল ( Permanently delete ) হবে ।
কমান্ডটি ব্যবহার করে বর্তমানে সময় দেখার জন্য এবং সময় পরিবর্তন করতে ব্যবহার হয় । ধরা যাক একজন ব্যবহার কারী যদি চাই তার কম্পিউটারে কয়টি বাজে তা কমান্ড লাইনে দেখবে এবং তার সময় পরিবর্তন করতে চাইলেও তা করতে পারবে । এর জন্য প্রথমে কমান্ড প্রম্পটি ওপেন করতে হবে এবংTime
টাইপ করতে হবে । এবং টাইম পরিবর্তন করতে হলে নিদিষ্ট ফরমেট অনুযায়ী দিযে ইন্টার দিতে হবে । তাহলে সময় পরিবর্তন হবে ।
এই কমান্ডটি দিয়ে সাধারণত তারিখ দেখতে ব্যবহার করা হয় । যদি একজন ইউজার তার কম্পিউটারে আজকের তারিখ দেখতে চাই তাহলে সে এই DATE
কমান্ডটি দিয়ে খুব সহজে তারিখটি দেখতে পারে । আবার ইউজার যদি তারিখ পরিবর্তন করতে চাই তাও করতে পারবে এর জন্য ইউজারকে নির্দিষ্ট ফরমেট অনুযায়ী দিলে তারিখ পরিবর্তন হয়ে যাবে । যেমন : -
ফাইলকে এক ডিরেক্টরী থেকে অন্য ডিরেক্টরীতে আবার এক ডিস্ক থেকে অন্য ডিস্কে স্থান্তর করার জন্য COPY
কমান্ডটি ব্যবহার হয় । এছাড়াও দুই বা ততোধিক ফাইলকে সমন্বয় করার জন্য এই কমান্ডটি ব্যবহার হয় । এখন ( D ) ড্রাইভ থেকে ( E ) ড্রাইভে একটি ফাইল প্রতিলিপি করব । তার জন্য ( D ) ড্রাইভে থাকা অবস্থায় টাইপ করতে হবে । COPY D:\index.html E:
তাহলে আমরা দেখতে পাব যে, ( D ) ড্রাইভে থাকা ( index.htm ) ফাইলটি ( E ) ড্রাইভে কপি হয়েছে । যেমন : -
এছাড়াও যদি ( E ) ড্রাইভে থাকা সমস্ত ফাইল একসাথে কপি করতে চাই তাহলে টাইপ করত হবে । যেমন : -
এক বা একাধিক ফাইল মুছার জন্য এই কমান্ডটি ব্যবহার হয় । কমান্ডটি প্রয়োগের সময় ফাইলের অবস্থা উল্লেখসহ প্রয়োগ করতে হবে । আথবা নির্দিষ্ট ডিরেক্টরীতে গিয়ে সেই সকল ফাইল ডিলেট করা যায় । আমরা এখন আমাদের ডেস্কটপে একটি ফোল্ডার ও তার ভিতরে বেশ কয়েকটি ফাইল রাখব এবং সেই ফাইল গুলোকে আমরা ডিলিট করব । যেমন : - C:\Users\Hamidur Rahman\Desktop\New folder>DEL "index .html"
কমান্ডটি টাইপ করলে ডেস্কটপে (New folder ) নামের ফোল্ডারের মধ্য যে ফাইলটির নাম ( index .html ) সেই ফাইলটি ডিলেট হয়ে যাবে ।
নোট : - একটি ডিরেক্টরীতে থাকা অবস্থায় তার ভিতরে সমস্ত ফাইল ডিলেট করতে চাইলে কমান্ড লাইনে টাইপ করতে হবে । যেমন : - ( DEL *.* ) তার পরে একটি পারমিশন চাইবে যদি ( Y ) দিয়ে কি – বোর্ড থেকে ( Enter ) বাটনটি প্রেস করি তাহলে সেই ডিরেক্টরীতে থাকা সমস্ত ফাইল ডিলেট হয়ে যাবে ।
কমান্ড লাইনে যে ওয়ার্ড গুলো টাইপ করছি সেই ওয়ার্ডের কালার গুলোকে পরিবর্তন করার জন্য আমরা এই ( COLOR ) কমান্ডটি ব্যবহার করে থাকি । ( COLOR ) কমান্ডটি ছাড়াও এর কালার পরিবর্তন করা যায় । তবে ফন্টগুলো কালার পরিবর্তন করার জন্য মোট ১৬ টি কালার রয়েছে । তবে একসাথে সমস্ত কালার দেখতে টাইপ করুন help color
যেমন : -
0 = Black | 8 = Gray |
1 = Blue | 9 = Light Blue |
2 = Green | A = Light Green |
3 = Aqua | B = Light Aqua |
4 = Red | C = Light Red |
5 = Purple | D = Light Purple |
6 = Yellow | E = Light Yellow |
7 = White | F = Bright White |
তবে কালার ( COLOR ) কমান্ডটি দেওয়ার জন্য প্রথমে টাইপ করতে হবে (COLOR) তার পর কোন কালার করতে চাই সেই কালারের সংকেত যেমন আমরা ( Green ) কালার করতে চাই । তার জন্য আমদেরক প্রথমে টাইপ করতে হবে ( COLOR 2 ) তাহলে ফন্টগুলোর কালার ( Green ) হয়ে যাবে । যেমন : -
ছোট এই কমান্ডটি দিয়ে আমরা আমাদের কম্পিউটারের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে পারি । এই কমান্ডটি টাইপ করে কি – বোর্ড থেকে এন্টার প্রেস করলে আমাদের কোন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম, কত জিবি র্যাম , কত বিট ইত্যাদি বিষয় আমরা জানতে পারি । যেমন : -
আমরা আমাদের কম্পিউটারের যে কমান্ড প্রম্পটি কমান্ড দেওয়ার জন্য ব্যবহার করছি সেই স্কিনের সমস্ত টেক্স পরিষ্কার করতে এই ( CLS ) কমান্ডটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে । ধরা যাক আমরা আমাদের কমান্ড প্রম্পটে বেশ কিছু কমান্ড ব্যবহার করছি এবং স্কিনটি পরিষ্কর করতে উক্ত ( CLS ) কমান্ডটি ব্যবহার করা হয় । যেমন : -
কোন ড্রাইভের মধ্য কি ধরণের ডিরেক্টরী / ফাইল আছে । আবার কোন ডিরেক্টরীরর মধ্য কি ধরনের ফাইল আছে তা জানার জন্য সাধারণত ( TREE ) কমান্ডটি ব্যবহার করা হয় । ধরাযাক আমরা ডেস্কটপে কি ধরনের ফাইল কোন ডিরেক্টরীর মধ্য আছে তা জানতে চাই । তার জন্য প্রথমে আমরা ডেস্কটপে গিয়ে ( TREE ) কমান্ডটি টাইপ করব । যেমন : -
আমরা যে, কমান্ড প্রম্পটি ব্যবহার করছি তার নাম দেওয়া আছে ( Comman Prompt ) যা আমরা খুবই সহজে পরিবর্তন করতে পারি । তার জন্য প্রথমে কমান্ড প্রম্পটি ওপেন করতে হবে এবং টাইপ করতে হবে যে, ( TITLE ) পরে যে নাম দিতে চাই । আমরা এখানে ( My Comman Prompt ) দিতে চাই । যেমন : -
কমান্ড প্রম্পটের যত গুলো কমান্ড আছে তা একসাথে দেখতে এই ( HELP ) কমান্ডটি ব্যবহার হয় । এখন কমান্ড প্রম্পটি ওপেন করে ( HELP ) কমান্টটি টাইপ করলে আমরা সমস্ত কমান্ডটি দেখতে পাব । যেমন : -
কমান্ড প্রম্পটি থেকে বের হবার জন্য আমরা বেশ কয়েকটি পন্থায় বের হতে পারি । তার মধ্য কোন ব্যবহার কারী যদি চাই যে সে কমান্ড প্রম্পট ব্যবহার করছে এবং সে কমান্ড প্রম্পটি থেকে বের হবার জন্য (EXIT) এই কমান্ডটি ব্যবহার করে সে বের হতে পারবে । আর (EXIT) এই কমান্ডটি দিয়ে কি –বোর্ড থেকে ( ENTER ) বাটনটি প্রেস করলে সাথে সাথে কমান্ড প্রম্পটের পেজ থেকে বের হয়ে যাবে । যেমন : -
কমান্ড প্রম্পটের সবচেযে পরিচিত কমান্ড হলো ( SHUTDOWN ) । কারণ এই কমান্ডটি দিয়ে আমাদের কম্পিউটার বন্ধ করার জন্য ব্যবহার হয় । শুধু তাই নয় যে, এই কমান্ডটি দিয়ে কম্পিউটার রিষ্টার দেওয়া যায় । এই ক্ষেত্রে আমরা এখন কম্পিউটার ( SHUTDOWN ) দিতে চাই । তার জন্য এই ভাবে টাইপ করতে হবে । ( SHUTDOWN /S ) দিয়ে যদি কি – বোর্ড থেকে এন্টার দিলে একটি পপআপ মেনু আসবে এবং এক মিনিট পরে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাবে । একই ভাবে কম্পিউটারে যদি রিষ্টার দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে টাইপ করতে হবে । ( SHUTDOWN /R ) তাহলে একই ভাবে একটি পারমিশন চাইবে এবং এক মিনিট পরে কম্পিউটার রিষ্টার এর কাজ শুরু হবে ।
উক্ত বিষয়ের উপর আপনার যদি কোন মতামত বা পরামর্শ থাকে আপনি আমাদেরকে অবশ্যই জানাবে এর জন্য আপনি Contuct US পেজটি ফলো করুন । ধন্যবাদ
খুবই দ্রুততার সাথে এই সমস্ত বিষয়গুলো ওযেব সাইটে নিয়ে আসা হবে বর্তমানে এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে । ...
onlineashikhi.com ভাল মানের সেবা দিযে থাকে। বিস্তারিত জানতে মেইল করুণ onlineashikhi@gmail.com পেয়ে যাবেন আমাদের সকল সেবা সূমহ । আমি মনে করি, এটি আপনাকে কম্পিউটার ও প্রগ্রাম সম্পর্কে শিখতে অনেক সাহায্য করবে ।